মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি ইরান ইসরায়েলকে কঠোর হুমকি দিয়েছে যে, যদি ইসরায়েল কোনো প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়, তাহলে ইরানও ইসরায়েলের সব গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আক্রমণ চালাবে। এই হুমকি ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বিদ্যমান বৈরিতাকে আরও গভীর করে তুলেছে।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, “যদি ইসরায়েল আমাদের উপর কোনো ধরনের সামরিক আক্রমণ চালায়, তাহলে আমরা ইসরায়েলের প্রতিটি স্থাপনায় হামলা চালাবো। আমাদের প্রতিশোধ হবে অতুলনীয় এবং তাৎক্ষণিক।” ইরানের এই হুমকি ইসরায়েলের সামরিক শক্তির উপর বিশেষভাবে কেন্দ্রিত।
বিশ্বের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে এই উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষত সিরিয়া ও লেবাননে হিজবুল্লাহর সাথে ইরানের সম্পর্ক এবং ইসরায়েলের সীমান্তের নিকটে সামরিক কার্যক্রমের কারণে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা প্রভাবিত হতে পারে।
ইসরায়েল এখনও ইরানের হুমকির জবাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে ইসরায়েল পূর্বে বলেছে যে, তারা নিজেদের রক্ষার জন্য সবসময় প্রস্তুত এবং তাদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস করবে না। ইসরায়েলও ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি বলে বিবেচনা করে।
উপসংহার
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ধরনের পরিস্থিতি শুধু এই দুই দেশের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে।